Delivery to
Bangladesh
All
Search for "medicine products"
Search for "healthcare products"
Search for "beauty products"
Search for "medicine products"
Search for "healthcare products"
Search for "beauty products"
Search for "medicine products"
Search for "healthcare products"
Search for "beauty products"
Search for "healthcare products"
Hello, User
Account & Orders
0

চুল পড়া বন্ধ করার উপায় (14টি এক্সপার্ট টিপস)

July 31, 2024
Share this tips with friends

অতিরিক্ত চুল পড়ছে! আপনি একা নন, আজকাল চুল পড়া একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। জীবনযাত্রার পরিবর্তন, দূষণ, মানসিক চাপ এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে অনেকেই চুল পড়ার সমস্যায় ভুগছেন। 

 

চুল পড়া একটি সাধারণ সমস্যা হলেও, এটি প্রতিরোধ করা সম্ভব। সঠিক যত্ন এবং পুষ্টি গ্রহণের মাধ্যমে চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখা যায়। প্রাকৃতিক উপায়, পুষ্টিকর খাদ্য, এবং চিকিৎসার মাধ্যমে চুল পড়া বন্ধ করা সম্ভব। চুল পড়া বন্ধ করার এই উপায়গুলো অনুসরণ করলে, আপনার চুল হয়ে উঠবে মজবুত, স্বাস্থ্যকর এবং উজ্জ্বল।

 

চলুন জেনে নিই, কীভাবে আপনি সহজে এবং কার্যকরভাবে চুল পড়া বন্ধ করতে পারেন এবং চুলকে সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর রাখতে পারেন।

 

প্রাকৃতিক উপায়ে চুল পড়া কমানোর উপায় 

 

প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি হেয়ার মাস্ক, তেল এবং অন্যান্য পণ্য ব্যবহার করে আপনি নিজের চুলকে সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর রাখতে পারেন। রাসায়নিক পদার্থ সমৃদ্ধ পণ্যের বদলে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা আপনার চুলকে স্বাভাবিকভাবেই উজ্জ্বল করে তুলবে।

 


প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যাবহার

 

প্রাকৃতিক উপাদান সাধারণত কম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এটি সস্তা ও সহজলভ্য। বাড়িতে পাওয়া উপকরণ দিয়েই আপনি হেয়ার মাস্ক তৈরি করতে পারেন।

 

১.  আমলকির তেল

 

আমলকি চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি চুল পড়া কমাতে এবং চুলের গ্রোথ বাড়াতে সাহায্য করে। আমলকির তেল নিয়মিত চুলে মালিশ করলে চুল স্বাস্থ্যবান থাকবে।

আমলকির শুকনো ফল নিয়ে তাদের গুঁড়ো করুন। এরপর, আমলকির গুঁড়া ২৫০ গ্রাম নিয়ে এতে ৫০০ মিলি নারকেল তেল মিশিয়ে মৃদু আঁচে কয়েক ঘণ্টা সিদ্ধ করুন। তারপর ঠান্ডা করে ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে নিন।

সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার আমলকির তেল মাথার ত্বকে ভালোভাবে মালিশ করুন। এটি চুলের গোড়া শক্তিশালী করে এবং চুল পড়া কমায়।

 

২. পেঁয়াজের রস

 

পেঁয়াজের রস চুলের যত্নে ব্যবহারের জন্য একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ও কার্যকরী প্রাকৃতিক উপাদান। পেঁয়াজে থাকা সালফার চুলের ফলিকলগুলোকে পুনর্জীবিত করে এবং চুলের বৃদ্ধি বাড়ায়। এছাড়াও, পেঁয়াজের রসে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণ থাকায় এটি স্ক্যাল্প ইনফেকশন ও খুশকি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

 ২-৩টি মাঝারি আকারের পেঁয়াজ ছোট টুকরো করে কাটুন। একটি ব্লেন্ডারে টুকরোগুলো দিয়ে পিউরি বানান। পিউরিটি একটি ছাঁকনি বা মুসলিন কাপড় দিয়ে চেপে চেপে রস বের করুন। পেঁয়াজের রসটি চুলের গোড়ায় সমানভাবে লাগান। মালিশ করে চুলের গোড়ায় ভালো করে রসটি মিশিয়ে দিন। প্রায় ২০-৩০ মিনিট চুলে রেখে দিন। এরপর ঠান্ডা পানি ও হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন।



৩.  ডিম ও মধুর মাস্ক

 

ডিম প্রোটিনের একটি ভালো উৎস এবং মধু ময়শ্চারাইজিং উপাদান। এই দুইটি একসাথে মিশিয়ে চুলের মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করলে চুল মজবুত ও মসৃণ হয়। একটি ডিম ভালোভাবে ফেটে নিন এবং তাতে দুই চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি চুলের গোড়া থেকে শুরু করে আগা পর্যন্ত লাগান। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে রেখে দিন এবং তারপর হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।



৪.  এলোভেরা  (ঘৃতকুমারী)

 

অ্যালো ভেরা চুলের স্ক্যাল্পে পুষ্টি যোগায় এবং খুশকি কমাতে সাহায্য করে।  এলোভেরা জেল চুলের গোড়ায় মালিশ করে কিছুক্ষণ পরে ধুয়ে ফেললে চুল সিল্কি ও শাইনি হয়। অ্যালো ভেরা পাতা কেটে জেল বের করুন। চুলের গোড়ায় জেল লাগিয়ে সারা চুলে ছড়িয়ে দিন। ৪৫ মিনিট রাখার পর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।

 

৫. মেথির বীজ

 

মেথির বীজ চুলের গ্রোথ বাড়ায় এবং স্ক্যাল্পের সমস্যা দূর করে। মেথির বীজ পানিতে ভিজিয়ে পেস্ট তৈরি করে চুলে লাগানো যেতে পারে।

 

রাতে মেথির বীজ ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন পানি ঝরিয়ে বীজগুলো ব্লেন্ডারে পিষে নিন। পেস্ট চুলের গোড়ায় ভালোভাবে লাগিয়ে ১ ঘণ্টা পর্যন্ত রেখে দিন। পরে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন।

 

৬. নারকেল তেল

 

নারকেল তেল চুলের জন্য একটি প্রাচীন উপায়। এটি চুলের গোড়ায় পুষ্টি দেয় এবং চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে। চুলের গোড়ায় নারকেল তেল মালিশ করে নিয়মিত গরম পানির স্টিম দেওয়া উচিত। নারকেল তেল গরম করুন যাতে তেল সহ্য করা যায় তবে খুব গরম না হয়। গরম তেলটি চুলের গোড়ায় ভালোভাবে মালিশ করুন। একটি উষ্ণ তোয়ালে দিয়ে মাথা ঢেকে রাখুন যাতে তাপ বজায় থাকে। ১-২ ঘণ্টা পর হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

 

৭. গ্রিন টি

 

গ্রিন টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর যা চুলের স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ঠান্ডা গ্রিন টি চুলের গোড়ায় লাগানো যেতে পারে। এজন্য প্রয়োজন একটি গ্রিন টি ব্যাগ বা অল্প পরিমাণ গ্রিন টি পাতা। ২ কাপ পানিতে ২-৩টি গ্রিন টি ব্যাগ বা সমপরিমাণ শুকনো পাতা দিয়ে ৫-১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এরপর পানি ঠান্ডা করুন। শ্যাম্পু করার পর চুল ভালোভাবে ধুয়ে নিন। এরপর গ্রিন টির ঠান্ডা পানি দিয়ে চুলের গোড়ায় ভালোভাবে লাগান। প্রায় ৫ মিনিট চুলে রেখে দিন এবং এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।

 

৮. নিম পাতা

 

নিম পাতা তার অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণাবলীর জন্য পরিচিত, যা চুল এবং স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য উন্নত করতে অত্যন্ত কার্যকর। নিম পাতার রস চুলের গোড়াকে মজবুত করে এবং চুলের বৃদ্ধি বাড়ায়, এছাড়াও এটি খুশকি দূর করতে সাহায্য করে।

 

রস প্রস্তুতি: নিম পাতা ভালোভাবে ধুয়ে নিন। পাতাগুলি ব্লেন্ডারে দিয়ে কিছু পানি সহ পিষে নিন। একটি ছাঁকনি বা মুসলিন কাপড় দিয়ে পেস্টটি চেপে রস বের করুন।

 

ব্যবহার: চুলের গোড়ায় ও স্ক্যাল্পে নিম পাতার রস সমানভাবে লাগান।  হালকা হাতে মালিশ করুন যাতে রসটি চুলের গোড়ায় ভালোভাবে মিশে যায়। প্রায় ৩০-৪৫ মিনিট রাখার পর শীতল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। শ্যাম্পু ব্যবহার করা যেতে পারে যদি গন্ধ সহ্য না হয়।

 

মনে রাখবেন: প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করেও যদি আপনার চুলের সমস্যা না কমে, তাহলে কোনো চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

 

চুল পড়া বন্ধ করতে কমার্শিয়াল পণ্য ও মেডিসিন 

 

অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার দ্রুত উপায়গুলোর মধ্যে কেমিক্যাল ও ভিটামিন এর ব্যবহার অন্যতম। 

 

 আপনার চুলের সমস্যার মূল কারণ হতে পারে ভিটামিনের ঘাটতি। কমার্শিয়াল পণ্য ও চিকিৎসা এই সমস্যার সমাধানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

 

1. মিনোক্সিডিল (Minoxidil)

 

মিনোক্সিডিল একটি এফডিএ-অনুমোদিত চিকিৎসা যা প্রায়শই পুরুষ ও মহিলাদের চুল পড়া নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হয়। এটি চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে, যা চুলের ফলিকলগুলোকে আরও পুষ্টি যোগান দেয় এবং চুলের বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। 

 

মিনোক্সিডিল সাধারণত স্প্রে বা ফোম আকারে পাওয়া যায়, এবং নির্দেশিত মাত্রায় চুলের গোড়ায় প্রয়োগ করা হয়। সাধারণত ৫% মিনোক্সিডিল চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ব্যবহার করা যায় কারণ এর সাইড ইফেক্ট খুবই কম। এর বেশি পার্সেন্টেজের মিনোক্সিডিল চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ব্যবহার করা উচিত নয়। ৫% মিনোক্সিডিল খুবই কার্যকর এবং মাত্র ৪-৬ মাসের ব্যবধানেই স্ক্যাল্পে চুলের পরিমান ৪৫% পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে সক্ষম বলে বিভিন্ন গবেষণা দ্বারা স্বীকৃত।

 

2. বায়োটিন সাপ্লিমেন্ট (Biotin Supplement)

 

এটি চুলের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ভিটামিন। বায়োটিন, যা ভিটামিন B7 হিসাবেও পরিচিত, এটি চুল, নখ, এবং ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নতির জন্য অত্যন্ত প্রশংসিত। এটি চুলের ফলিকলগুলোকে সুস্থ রাখতে এবং চুলের বৃদ্ধি বাড়াতে সহায়তা করে। নিয়মিত বায়োটিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করলে চুল পড়া কমে যায় এবং চুল দৃঢ় ও ঘন হয়। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এসব ক্ষেত্রে বায়োটিন সমৃদ্ধ শ্যাম্পু এবং বায়োটিন যুক্ত কন্ডিশনার ব্যবহার করা যেতে পারে। 

 

3. নিয়াসিনামাইড

 

নিয়াসিনামাইড চুলের মূলে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে। ভালো রক্ত সঞ্চালনের ফলে চুলের মূল পুষ্টি ও অক্সিজেন যথাযথ পরিমাণে পায়। এটি চুলের কোষগুলোকে মেরামত করতে সাহায্য করে এবং নতুন কোষ তৈরি হতে উৎসাহিত করে। চুলের মূল যে ত্বকে অবস্থিত, সেই ত্বককে স্বাস্থ্যকর রাখতেও নিয়াসিনামাইড সাহায্য করে।



চুল পড়া রোধে চিকিৎসা 

 

কখনো কখনো কমার্শিয়াল পণ্য দিয়ে চুল পড়া সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নাও হতে পারে। এমন ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। চিকিৎসক বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চুল পড়ার কারণ নির্ণয় করে চিকিৎসা দেবেন।

 

চুল পড়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হতে পারে- 

 

  • ঔষধ: চিকিৎসক বিভিন্ন ধরনের ঔষধ দিতে পারেন যেমন মিনোক্সিডিল, ফিনাস্টেরাইড ইত্যাদি।

  • হরমোন থেরাপি: কিছু ক্ষেত্রে হরমোনজনিত সমস্যার কারণে চুল পড়ে। এমন ক্ষেত্রে হরমোন থেরাপি দেওয়া হতে পারে।

  • শল্যচিকিৎসা: খুবই গুরুতর ক্ষেত্রে শল্যচিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।

 

চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া কেন প্রয়োজন 

 

চিকিৎসক বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চুল পড়ার সঠিক কারণ নির্ণয় করতে পারবেন। এটি হতে পারে জিনগত সমস্যা, হরমোনজনিত সমস্যা, পুষ্টির অভাব, কোনো রোগ বা অন্য কোনো কারণ। চিকিৎসক কারণ অনুযায়ী আপনার জন্য সঠিক চিকিৎসা নির্ধারণ করবেন। 

 

চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া যে কোনো ঔষধ বা পণ্য ব্যবহার করলে চুল পড়ার সমস্যা আরও বাড়তে পারে অথবা অন্যান্য জটিলতা দেখা দিতে পারে।

 

হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট হলো একটি সার্জিক্যাল প্রক্রিয়া যেখানে চুল পড়া থেকে প্রভাবিত এলাকা থেকে চুলের ফলিকলগুলোকে স্থানান্তর করা হয় এবং চুল পড়া না হওয়া এলাকায় স্থাপন করা হয়। এটি দীর্ঘমেয়াদী চুল পড়ার সমস্যার জন্য একটি কার্যকর সমাধান প্রদান করে এবং চুলের ঘনত্ব এবং চেহারা উন্নত করে। তবে, এই প্রক্রিয়াটি খরচসাপেক্ষ এবং কিছু ঝুঁকি বহন করে, তাই চিকিৎসকের পরামর্শ এবং যথাযথ মূল্যায়ন অত্যন্ত জরুরি।

 

 

মনে রাখবেন: চুল পড়ার কারণ ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। তাই সেরা ফলাফলের জন্য একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

 

চুল পড়া রোধে জীবনযাত্রা পরিবর্তন

 

চুল পড়া রোধে জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন অনেকাংশে সাহায্য করতে পারে। নিচে চুল পড়া রোধে জীবনযাত্রা পরিবর্তনের কিছু উপায় বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হলো:

 

ধূমপান ও মাদক বর্জন

 

ধূমপান এবং বিভিন্ন মাদক শরীরের অক্সিজেন সরবরাহ হ্রাস করে এবং টক্সিন উৎপাদন করে, যা চুলের ফলিকলগুলোকে ক্ষতিগ্রস্থ করে। এই অভ্যাসগুলো চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন কমিয়ে দেয় এবং চুল পড়ার হার বাড়িয়ে তোলে।

 

ধূমপান ও মদ্যপান বর্জন করে শরীরের সাধারণ স্বাস্থ্য উন্নতি সাধন এবং চুলের গোড়ায় স্বাভাবিক রক্ত সঞ্চালন নিশ্চিত করা যায়।

 

পর্যাপ্ত ঘুম

 

ঘুমের সময় শরীর হরমোন মেলাটোনিন উৎপাদন করে, যা চুলের ফলিকলগুলোর বৃদ্ধি ও পুনর্জীবনে সাহায্য করে। অপর্যাপ্ত ঘুম চুলের ফলিকলগুলোর স্বাস্থ্য হ্রাস করে। রাতে ৭-৯ ঘণ্টা নিয়মিত ও পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন।

 

নিয়মিত ব্যায়াম

 

ব্যায়াম শরীরের মোট রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে, যা চুলের ফলিকলগুলোতে পুষ্টি এবং অক্সিজেন পৌঁছানোর ক্ষমতা বাড়ায়। এটি চুলের বৃদ্ধির হার বাড়িয়ে তোলে এবং চুল পড়া কমায়। সপ্তাহে অন্তত ৩-৫ বার ৩০ মিনিট করে মৃদু থেকে মধ্যম শ্রেণির ব্যায়াম যেমন হাঁটা, জগিং, বা অন্য শারীরিক অনুশীলন করুন।

 

স্বাস্থ্যকর ডায়েট

 

পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস চুলের ফলিকল ও ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। প্রোটিন, আয়রন, ভিটামিন A, C, D, E, জিঙ্ক, এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার চুলের বৃদ্ধি এবং ঘনত্ব বাড়ায়। সুষম খাদ্যের মাধ্যমে শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন জোগান দিয়ে এই সমস্যার কিছুটা হলেও সমাধান করা সম্ভব। বিভিন্ন ভিটামিন, যেমন ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন ই, আয়রন, জিনক এবং বায়োটিন চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

 

এই ভিটামিনগুলো চুলের বৃদ্ধি উদ্দীপিত করে, চুলের কোষকে শক্তিশালী করে এবং চুল পড়া রোধ করে। মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, পালং শাক, বাদাম, বীজ, সবুজ শাকসবজি, ফল ইত্যাদি খাবারে এই ভিটামিনগুলো প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।

 

স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ  

 

স্ট্রেস শারীরিক ও মানসিক উভয় ভাবেই চুল পড়ার হার বাড়াতে পারে। স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের উচ্চ মাত্রা চুলের ফলিকলগুলোকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে। নিয়মিত মেডিটেশন, যোগব্যায়াম, ডিপ ব্রিদিং টেকনিক, এবং হবিগুলো অনুশীলন করে স্ট্রেস হ্রাস করুন। প্রয়োজনে কাউন্সেলিং বা থেরাপির সাহায্য নিন।

 

পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান

 

হাইড্রেশন চুলের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত জরুরি। পর্যাপ্ত জল পান চুলের সেলগুলো বৃদ্ধি এবং মেরামতে সাহায্য করে। প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন। শরীরকে সবসময় হাইড্রেটেড রাখুন, বিশেষ করে গরম ও আর্দ্র আবহাওয়ায়।

 

চুলের যত্নে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ

 

  • চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় চুল নিয়মিত পরিষ্কার রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চুলে ময়লা জমে গেলে চুলের গোড়ায় সমস্যা হয় এবং চুল পড়া বাড়ে।
  • ভেজা চুল খুবই সংবেদনশীল। ভেজা চুল আঁচড়ানো উচিত নয় এবং চুল শুকানোর সময় নরম তোয়ালে ব্যবহার করা উচিত।
  • চুলের উপযোগী শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত। চুলের ধরন অনুযায়ী শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার নির্বাচন করা উচিত।
  • অতিরিক্ত হিট চুলের জন্য ক্ষতিকর। হেয়ার ড্রায়ার, স্ট্রেইটনার বা কার্লার অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে চুলের ক্ষতি হয়।
  • অতিরিক্ত কেমিক্যাল প্রয়োগ চুলের জন্য ক্ষতিকর। বিভিন্ন হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করার সময় সতর্ক থাকা উচিত এবং চুলের স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে পণ্য নির্বাচন করা উচিত।

 

FAQs

 

চুল পড়া বন্ধ করার জন্য কী কী প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা যেতে পারে?

চুল পড়া বন্ধ করার জন্য আমলকী, মেথি, পেঁয়াজের রস, নারকেল তেল, অ্যালোভেরা জেল ইত্যাদি প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা যেতে পারে।

 

মিনোক্সিডিল কীভাবে কাজ করে?

মিনোক্সিডিল চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে এবং চুল পড়া কমায়।

 

ধূমপান ও মদ্যপান চুল পড়ার সাথে কীভাবে সম্পর্কিত?

ধূমপান ও মদ্যপান চুলের স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং চুল পড়ার হার বাড়ায়। এই বদভ্যাসগুলি চুলের বৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করে।

 

চুলের জন্য কোন ভেষজ উপাদানগুলো সবচেয়ে কার্যকর?

চুলের জন্য সবচেয়ে কার্যকর ভেষজ উপাদানগুলোর মধ্যে নিম পাতা, মেথি, রিঠা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত।

 

চুলের যত্নে কোন ধরনের খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা উচিত?

চুলের যত্নে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল এবং আয়রনের সমৃদ্ধ খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা উচিত। মাছ, ডিম, সবুজ শাকসবজি, বাদাম এবং ফল খাওয়া উচিত।

 

চুলের জন্য কোন শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত?

চুলের ধরন অনুযায়ী শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার নির্বাচন করা উচিত। সাধারণত, প্রাকৃতিক উপাদানযুক্ত শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করা ভালো।

 

Was this post helpful?

0

0
🎉 Be the first one to comment on this post

    Leave a comment

    Submit