রেমিসল
কুরছ রেহমিন
জরায়ুর প্রাকৃতিক ছন্দ ফিরিয়ে আনে
বিবরণঃ প্রাকৃতিক (উদ্ভিজ্জ, প্রাণিজ ও খনিজ) উপাদানের সমন্বয়ে তৈরী রেমিসল ট্যাবলেট একটি দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত ঔষধ। ইহা জরায়ুর স্বাভাবিক ছন্দ ফিরিয়ে আনে। এতে ন্যাচারাল আয়রণ, ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য কার্যকরী উপাদান বিদ্যমান। ইহা শ্বেত প্রদর রোগের চিকিৎসায় একটি যুগোপযোগী ফর্মূলা যা হার্বস, খনিজ ও প্রাণিজ উপাদানের সমন্বয়ে তৈরী। জীবাণুর বা অন্য কারণে শ্বেত প্রদর হলে তার চিকিৎসায় রেমিসল অত্যন্ত কার্যকর।
প্রতিটি ট্যাবলেটে আছে :
সূত্র: কুরছ রেহামন, বা. জা.ই.ফ. রেমিসল ট্যাবলেটে ব্যবহৃত উপাদান সমূহের ঔষধি গুণাগুণ ঃ
১. চিকনী সুপারী : শুষ্ক সুপারি জীবানু বিরোধী, শীতল কারক, মূত্র বর্ধক, স্নায়বিক শক্তি বর্ধক, ঋতু স্রাব কারক, উদ্দীপক এবং পঁচনরোধক। সুপারি চূর্ণ ডায়রিয়া, পুরাতন আমাশয় ও প্রস্তাবতন্ত্রের সংক্রমণে কার্যকর। ইহা উচ্চ রক্তচাপ হ্রাস করে।
২. শোধিত শিলাজতু ঃ ইহা বিশেষভাবে সাধারণ শক্তিবর্ধক হিসেবে প্রজনন ও প্রস্রাব তন্ত্রের রোগ, ডায়াবেটিস, পিত্ত থলির পাথর, জন্ডিস, ব্যথা ও রক্তক্ষরণ মুক্ত পাইলস, লিভার ও প্লীহা বৃদ্ধি, পেট ফাঁপা, ক্রিমি, কিডনি এবং মূত্র থলির পাথর, স্নায়বিক দূর্বলতা, হিস্টিরিয়া, রক্ত স্বল্পতার চিকিৎসায় কার্যকর। ইহা পিত্ত উৎপাদন বাড়ায়, মৃদু রেচক এবং রক্ত পরিস্কারক। ইহা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৩. চুনিয়া গোন্দ ঃ এই গাছের গাম গ্যালিক এসিড ও ট্যানিক এসিড সমৃদ্ধ এবং ইহা শক্তিশালী কষায়কারক বস্তু। ইহা ঋতুস্রাবে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, শ্বেতপ্রদর, জ্বর নিয়ন্ত্রণ এবং ক্রিমি নাশক হিসেবে অত্যন্ত কার্যকর।
৪. লৌহ ভষ্ম : খনিজ লৌহ শোধন করে ভষ্ম তৈরি করা হয়। ইহা বিশেষত রক্ত স্বল্পতায়, ঋতু বন্ধতা, ব্যথা যুক্ত ঋতুস্রাব এবং অতিস্রাবে ব্যবহৃত হয়।
৫. মুক্তা ভগ্ন ঃ ইহা এক প্রকার প্রাণিজ ক্যালসিয়াম যা মুক্তা থেকে তৈরী করা হয়। ইহা খুব শক্তিশালী হৃদশক্তি বর্ধক, মানসিক শক্তিদায়ক, উদ্দীপক এবং স্নায়বিক শক্তি বর্ধক। ইহা অনিয়মিত হৃদকম্পন দূর করে। ইহা প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া দূর করে। শ্বেত প্রদর, যৌন শীতলতা (Frigidity), যৌন অক্ষমতা এবং সাধারণ দুর্বলতা দূর করে।
৬. কুশ্তা বয়জা ঃ ইহা মুরগীর ডিমের খোসা থেকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় তৈরী এক প্রকার ক্যালসিয়াম, যা ক্যালসিয়ামের অভাব দূর করে এবং শ্বেত প্রদর দূর করে।
৭. বাবলা গঁদ : এই গাম কষায় কারক, শীতলকারক, আরামদায়ক, লিভার সবল কারক, রক্ত বর্ধক, জ্বর নাশক এবং সাধারণ শক্তি বর্ধক। ঐতিহ্যগতভাবে ইহা গণোরিয়া, মুত্র থলির প্রদাহ, শ্বেতপ্রদর, পাইল্স এবং মলদ্বারের প্রোলাপসে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
রোগ নির্দেশনা : ট্রাইকোমনাস ভ্যাজিনালিস ও ক্যানডিডা এলবিকান জনিত শ্বেত প্রদর, শ্বেত প্রদর জনিত সাধারণ দুর্বলতা, রক্ত স্বল্পতা, জরায়ুর দুর্বলতা। মিনারেলের অভাব, আয়রণ ও ক্যালসিয়ামের অভাব জনিত সমস্যায় নির্দেশিত।
সেবন মাত্রা ও সেবন বিধি : ২-৩ ট্যাবলেট দৈনিক ২ বার আহারের পর সেব্য। গর্ভাবস্থায় শ্বেত ব্ৰাৰ হলে ১ ট্যাবলেট দৈনিক ১-২ বার আহারের পর সেব্য। জরায়ুর দূর্বলতায় (পেশীর শিথিলতা ও স্নায়বিক দূর্বলতা) ধারক হিসেবে কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রতিদিন ১টি করে আহারের পর অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঃ ইউনানী ঔষধ রেমিসল সেবনে তেমন কোন বিরূপ প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয় নি। গর্ভাবস্থায় : গর্ভবতীর শ্বেত প্রদর হলে রেমিসল সেবন করা যাবে।