যবকে ভালোভাবে পানিতে ধুয়ে উত্তম রূপে রৌদ্রে শুঁকিয়ে নিতে হয়। এরপর সেগুলো ভালো ভাবে কড়াইইয়ে ভেজে নিতে হবে। এরপর সেই ভেজে নেওয়া যব ঢেঁকি বা মেশিনে ভাঙানো হয়। ঢেঁকি বা মেশিনে ভাঙানো এই মিশ্রণই যবের ছাতু।
যবের ছাতুর উপকারিতা
১। সহজে হজমযোগ্য একটি উপাদেয় খাবার।
২। গরমে শরীর ঠান্ডা রাখে এবং শক্তি যোগায়।
৩। জ্বালাভাব দূর করে শান্তি যোগায়।
৪। কফ ও পিত্ত নাশ করে।
৫। খিদে বাড়িয়ে দিয়ে ক্ষুধামন্দ্যা দূর করে।
৬। শুক্র বৃদ্ধি করে।
৭। দাঁতের মাড়ি ফুলে গেলে গ্রহণ করা হয়।
৮। হৃদরোগের বিপরীতে ভূমিকা রাখে।
৯। জ্বরের পথ্য হিসেবে দারুণ কাজ করে।
১০। এতে রয়েছে মল্টোজ, স্যাকরিন, লেসিথিন, অ্যামাইলেজ, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এর মতন প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান।
১১। প্লীহা এবং পাকস্থলীর সমস্যা দূর করে।
১২। বদহজমের সমস্যা দূর করে পেট ঠান্ডা রাখে।
১৩। ফাইবার বা খাদ্য আঁশ সমৃদ্ধ খাবার।
খাস ফুডের যবের ছাতু (Barley flour) কেনো সেরা?
১। নিজস্ব তত্ত্বাবধানে বাছাইকৃত যবের দানা থেকে প্রস্তুতকৃত।
২। এতে যব বাদে অন্য কোন উপাদান সংমিশ্রিত হয় না।
৩। সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে তৈরি করা হয়।
৪। এতে পুষ্টিগুণ থাকে অক্ষুণ্ণ।
অনেকে যবের ছাতু এবং ওটমিল কে একই খাবার বলে মনে করে থাকেন। আদতে তারা সমগোত্রীয় হলেও ভিন্ন দুইটি খাবার। বাচ্চাদের জন্য বেশ উপযোগী একটি খাবার এই ছাতু। এর স্বাদ ও পুষ্টিগুণ বাচ্চাদের বিকাশে ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যেও গ্রহণ উপযোগী। তবে এক্ষেত্রে কোনরূপ মিষ্টি জাতীয় খাবার যুক্ত না করাই শ্রেয়। খাস ফুডের যবের ছাতু প্যাকেজিং এর তারিখ হতে এক বছর সময়কাল পর্যন্ত গ্রহণ উপযোগী।