হলারিনা অ্যান্টি ডিসেন্ট্রিকা (Holarina Antidysentrica) – গবেষণালব্ধ কার্যকারিতা
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক ফার্মাকোপিয়া অনুযায়ী প্রস্তুত
গবেষণালব্ধ কার্যকারিতা:
বিভিন্ন হোমিওপ্যাথিক গবেষণা ও মেটেরিয়া মেডিকা অনুসারে হলারিনা অ্যান্টি ডিসেন্ট্রিকা তরুণ ও দীর্ঘস্থায়ী আমাশয় (Dysentery) ও রক্ত আমাশয় (Bloody Dysentery) রোগের চিকিৎসায় অত্যন্ত কার্যকরী। গবেষণায় দেখা গেছে, এটি নিম্নলিখিত উপসর্গসমূহের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে—
✅ অতিরিক্ত পেট ব্যথা: কখনও তীব্র, কখনও মৃদু ব্যথা, যা দীর্ঘস্থায়ী হয়।
✅ অনিয়মিত মলত্যাগ: কখনও কোষ্ঠকাঠিন্য, কখনও পাতলা মলবেগ, মলের সঙ্গে সাদা বা লাল শ্লেষ্মার নিঃসরণ।
✅ মলদ্বারে জ্বালাপোড়া ও মলত্যাগের সময় কষ্ট অনুভব করা।
✅ অতিরিক্ত পিপাসা ও অরুচি: খাবারের প্রতি অনিহা ও সাধারণ দুর্বলতা।
✅ পেট ফাঁপা, অম্লশূল ও অন্ত্রের দুর্বলতা।
✅ রক্তস্বল্পতা ও শারীরিক অবসাদ: দীর্ঘদিন আমাশয়ে ভুগলে শরীরে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়, যা এটি নিরাময়ে সহায়তা করে।
গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা গেছে, "হলারিনা অ্যান্টি ডিসেন্ট্রিকা" সঠিক নিয়মে গ্রহণ করলে আমাশয় রোগ দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে এবং দীর্ঘমেয়াদে রোগ প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
সেবনবিধি:
✔ প্রাপ্ত বয়স্ক: ১ চা-চামচ (পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি সহ) দিনে ৩ বার।
✔ অপ্রাপ্ত বয়স্ক: ½ চা-চামচ দিনে ৩ বার।
✔ রোগের তীব্রতা বেশি হলে প্রতি ২-৩ ঘণ্টা অন্তর সেবন করা যেতে পারে।
✔ অথবা নিবন্ধিত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।
সতর্কীকরণ:
✅ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
✅ ঠান্ডা ও শুষ্ক স্থানে সংরক্ষণ করুন।
✅ চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত অতিরিক্ত মাত্রায় সেবন পরিহার করুন।